ভারতের মায়ানমার কৌশল

চীনের তুলনায় মায়ানমারে ভারতের সম্পৃক্ততা এখনও খুব একটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। কিন্তু দিল্লি ভারত-মায়ানমার সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে, বিশেষ করে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলগত গতিশীলতার ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষাপটে। ভারতের 'পূর্ব দিকে পদক্ষেপ নিন' নীতিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও মায়ানমার একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র। চীনের তুলনায় পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও, ভারত মায়ানমারের সাথে তার সম্পর্ককে আরও সুসংহত এবং প্রতিযোগিতামূলক করে তুলছে। বিশ্ব যখন রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকারের পদ্ধতিগত লঙ্ঘনের জন্য মায়ানমারের সামরিক বাহিনীকে নিন্দা করছে, তখন নয়াদিল্লি নীরবতা পালন করছে এই আশায় যে এই ধরনের আত্মসমর্পণ কৌশলগত সুবিধা পাবে। সেনাবাহিনী এখন এক বছরব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। অভ্যুত্থান এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত এনএলডি সরকারকে উৎখাতের পর মায়ানমার জান্তার প্রতি নয়াদিল্লির সম্ভাব্য আলিঙ্গন, অথবা অন্তত সহনশীলতার প্রতি মনোযোগ ভূ-রাজনৈতিক কৌশল এবং এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতার এক কুৎসিত পরিণতি প্রকাশ করে। বইটি ভারত-মায়ানমার সম্পর্কের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করে, যেখানে ভারতের দড়ি দড়ি দিয়ে চলা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে তা তুলে ধরা হয়।