কার্ল মার্কস: জীবন ও মানন

শহিদ কবি সরোজ দত্ত একবার বলেছিলেন, ইতিহাসের গতিপথ গতিপথে জন্ম দেয়, তার নির্দিষ্ট ভূমিকা; পরবর্তীকালে সেই ব্যক্তিই নির্মাণ করেন ইতিহাস। তাঁর এই বলে, বলা বাহুল্য, কার্ল ক্ষেত্রে একশো ভাগ প্রযোজ্য। পঞ্চদশ প্রার্থীর রেনেসাঁস আলোকমালা ফারাসি বিপ্লবের মাধ্যমে নিজের ঔজ্জ্বল্য ভোট হেগেল, ফয়েরবাখ প্রমুখের দার্শনিক সংবিৎ, প্রশাসক স্মিথ, রিকার্ডোদের অর্থ স্থলীয় এবং সেন্ট সাইমন, রবার্ট আওয়েনদের ক্বস্বর্গীবাদের শারীরিক রচনা ছুঁয়ে যখন সমাজ বিপরীতে তীব্র আকাঙ্ক্ষা বিপ্লবের অজানা দেশ পাড়ি জমাতে অস্থির হয়ে উঠল, তখনই আবির্ভাব ঘটল মার্সে, চিন্তাশক্তি এতদিনকার হেটমুণ্ড উর্দুপদ অবস্থাকে স্বস্তিরমতো কান ধরে উঠে দাঁড় করিয়ে দেখায়। তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে দার্শনিক কেবলমাত্র দুনিয়া ব্যাখ্যা করেছেন, কিন্তু আসলা কাজটাই বাকি থেকে গেছে। কাজটা করা, এই পচে যাওয়া, খসে পড়া ব্যবস্থা বুকে পাল্টে দেওয়া, এবং এমন এক সমাজ নির্মাণ যাতে মানুষের দ্বারা সৃষ্টপ্রেমী মানুষের উপর না হয় সিন্দবাদ বিকির সেই শয়তানড়োর মতো চেতনা বসা। রাষ্ট্রকে চ্যাট করা শোষণ করা যায় এবং এমন একটি নির্জন সমাজ যেখানে মানুষ "প্রয়োজন মাফিক এবং ক্ষমতা মাফিক করতে পারে"। সেই মনস্বী চিন্তক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ কার্ল মার্সে জীবন এবং তাঁর মতাদর্শের সুলুক বিড়াল বাংলাবাজ এযাবৎ কালের লেখা কোনো বইতে পাওয়া যায় না। সাত্যায়ে বিভক্ত এই বইতে সেই কাজটাই নিখুঁতভাবে শেষ করেছেন লিখিত সুনীল মিত্র। মার্সে জীবন ও কথাও যে তাঁর মতাদর্শ প্রতিচ্ছবি রূপ, তানীল বাবু এই বইতে উদাহরণ দিয়েছেন এবং অপূর্ব সিদ্ধান্তয়।